,

হত্যা মামলার আসামী ফারুক মিয়া কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবাদের প্রতিবাদ

গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার শেষ পৃষ্টায় ‘প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবাদ লিপিটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। প্রতিবাদ লিপিতে যা কিছু উল্লেখ করা হয়েছে তাহা সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। নবীগঞ্জের কসবা গ্রামের বহুল আলোচিত ট্রিপল মার্ডার সহ বিভিন্ন মামলার অন্যতমও আসামী ফারুক মিয়ার মনগড়া কাল্পনিক প্রতিবাদ যাহা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো অবস্থা। মূল বিষয় হলো সম্প্রতি আমার চাচাত্তো ভাই আজিজুল ইসলাম হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণের পরপরই আজিজুল হত্যা মামলার আসামীরা আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। মামলায় সাক্ষী ও আদালতে না যাওয়ার জন্যে মারধর ও  হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আদালতে আমি সিরাজুল ইসলাম আজিজুল হত্যা মামলার সাক্ষী দিয়ে আসার পথে ময়ূর হোসেন আমাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্যোগে হামলার চেষ্টা করে। আমি লোকজনের সহযোগিতায় দৌড়ি পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পাই, এ ঘটনায় র‌্যাব-৯ এর কার্যালয়ে লিখিত দরখাস্ত করি। এ ছাড়াও এর আগে নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করা আছে। এরই আলোকে দৈনিক হবিগঞ্জ সময় ও দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকার সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু হত্যা মামলার আসামী ফারুক মিয়া নিজের দোষ ঢাকতে গতকাল সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন, যা সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট।
এ বিষয়ে আমার বক্তব্য হচ্ছে ২০১৫ সালের ৫ জুন বিভিন্ন হত্যা মামলাসহ কয়েকটি মামলার দীর্ঘদিনের পলাতক আসামী বিএনপি নেতা ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করতে সিলেট র‌্যাব-৯ এর একদল সদস্য নবীগঞ্জের কসবা গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় আসামীকে সনাক্ত করতে আমার চাচাতো ভাই আজিজুল ইসলামকে সাথে নেয় এবং আসামী ফারুক মিয়াকে ধরতে সক্ষম হয়। ফারুক মিয়াকে ধরিয়ে দিতে র‌্যাবকে সহযোগীতা করায় ফারুক মিয়াসহ তার সহযোগীরা আজিজুল এর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরদিন ৬ জুন বিকেলে স্থানীয় বান্দের বাজার থেকে আজিজুল ইসলাম বাড়ী ফেরার পথে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃত ফারুক মিয়ার আপন ভাই শাহীন মিয়া, আপন ভাতিজা তফজ্জুল হোসেন ও ময়ুর হুসেন সহ তাদের পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মম ভাবে আজিজুল ইসলাম’কে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় চাচাতো ভাই ইকবাল হোসেন স্বপন বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে হত্যা মামলার অন্যতমও আসামী ময়ূর হুসেন সহ অন্যান্য আসামী মামলার বাদী ও সাক্ষীকে সাক্ষ্য না দেওয়ার জন্যে হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি আমাকে হত্যার জন্য নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমি আদালতে স্বাক্ষী দিয়ে আসার সময় আমার রড সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলার চেষ্টা করে। পরে আমি দৌড়ে গিয়ে রক্ষা পাই। এরপর থেকেও নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এদিকে জিডি ও র‌্যাব ক্যাম্পে দরখাস্তের  আলোকে এবং আমাদের বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকবৃন্দ দৈনিক হবিগঞ্জ সময় ও দৈনিক হবিগঞ্জের মুখসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন। কিন্তু হত্যা মামলার আসামী ফারুক মিয়া নিজের দোষ ঢাকতে গতকাল মনগড়া তথ্য দিয়ে উক্ত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে, প্রতিবাদে যা উল্লেখ করেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি উক্ত মিথ্যা প্রতিবাদ লিপির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

প্রতিবাদকারী
সিরাজুল ইসলাম
গ্রাম: কসবা, দীঘলবাক ইউপি, নবীগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর